ভরদুপুরে মরুভূমির তপ্ত রোদে চোখে পড়ল এক মরীচিকা। দূর থেকে মনে হয় বেশ মনোরম এক উদ্যান। ওদিকে তেষ্টায় গলা শুকিয়ে গেছে না জানি কতক্ষন। আশার আলোয় চোখে ঝিলমিল লেগে যায়। তাপে পোড়া, ক্লান্তিতে কুঁকড়ে যাওয়া শরীর, যা অনেক আগেই জবাব দিয়ে দিয়েছিল, এবারে নড়েচড়ে ওঠে। খানিক আগে অব্দিও সবকিছু কেমন ফ্যাকাসে ছিল। সামনের মরুদ্যানটি পৃথিবীতে রঙ ফেরাল যেন। ঠিক সিনেমার মতো। এক পলকের বিরামে হলদেটে, ফিকে হয়ে যাওয়া প্রকৃতির ওপর স্নিগ্ধ এক সবুজ পরত পরে গেল। এবারে সব কিছুই সবুজ। আকাশ সবুজ, সামনের উদ্যানের গাছগুলো সবুজ, ইট দিয়ে বাধাই করা ছোট্ট পুকুরটি সবুজ আর তার পাশে বিশ্রাম নেবার বেঞ্চি দুটিও সবুজ। এত সবুজে কেমন গা গুলোতে থাকে। যতই এগোন যায় এই সবুজ যেন আরও গাঢ় হয়। ভয় হয়, প্রকৃতির রঙ যদি প্রকৃতিরই নিয়ম মেনে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। কেমন মনে হয়, যদি জলের রঙও সবুজ হয়ে যায়। সবুজ তরল তো বিষেরই সমান। দূর থেকে দেখা এই উদ্যানটি যত কাছে আসতে থাকে ততই প্রাণনাশের আশঙ্কায় এক জাগতিক ভীতির উদ্রেক হয়। Continue reading “একমাত্র চেনা গন্ধ” →