#মিটু, কোল্যাটেরাল ড্যামেজ এবং অক্টোবরের কলকাতা

#মিটু এবং বঙ্গসংস্কৃতির বর্তমান ঘোলাজল নিয়ে দু’কথা। গত সপ্তাহে কলকাতার নাট্যজগতের এক নামজাদা ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে আবার সোশাল মিডিয়া তোলপাড় হয়, সেই প্রসঙ্গে এই পোস্ট। দু’কথা ভাবছি বলেই ফেসবুকের বদলে ব্লগ পোস্ট করছি, এতে বেশি লেখা যায়।

১। প্রথম ভাবনা – রেপ, মলেস্টেশন এবং কোল্যাটেরাল ড্যামেজ

যেকোন ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে যখন আলোচনা হয়, তখন একটা কথা অবধারিতভাবে উঠে আসে, আর সেটা হল কোল্যাটেরাল ড্যামেজ। আমি কখনো কোন সারভাইভারকে বলতে শুনিনি যে তারা কোল্যাটেরাল ড্যামেজ হিসেবে কাউকে চিহ্নিত করছেন। কিন্তু যখনই কোন মানুষ, যে সেই ঘটনার ক্ষেত্রে পারপিট্রেটারও নয় আবার সারভাইভারও নয়, কোনপ্রকার সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স নিয়ে কথা বলেন তাদের মুখে খুব ঘুরেফিরে আসে কথাটা; কোল্যাটেরাল ড্যামেজ। যুদ্ধের ক্ষেত্রে এই কোল্যাটেরাল ড্যামেজের জন্য ‘নিরীহ’ মানুষদের প্রাণনাশ অব্দি হয়। কথাটা-র গোদা বাংলা করলে দাঁড়ায়, যে বা যারা এইসব ভায়োলেন্স রিপোর্ট করছেন তারা পারপিট্রেটার ছাড়াও আরও অনেকের ক্ষতি করছেন এবং সেদিকে খেয়াল রাখছেন না। ভেবে দেখলে এই কোল্যাটেরালের ধারণাটাই – অর্থাৎ একজন যা খুশি করবে এবং তার জন্য আশেপাশে ঘটে যাওয়া ‘নিরীহ’ মানুষদের কথা একবারও ভাববে না – ভীষণ পিতৃতান্ত্রিক। কিন্তু ভাবার বিষয় হল, যৌনহেনস্থা রিপোর্টেড হবার ক্ষেত্রে তাহলে কী ধরণের কোল্যাটেরালের কথা সুধীজনেরা বলে থাকেন?

Continue reading “#মিটু, কোল্যাটেরাল ড্যামেজ এবং অক্টোবরের কলকাতা”